By আফরোজা ফেরদৌস
ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে চাই
Media School October 23, 2020

যুগ যুগ ধরেই সমাজে নারীবিদ্বেষী নানা প্রথা রয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজে নারীরা পণ্য ছাড়া আর কিছুই না। পুরুষের ইচ্ছামতো ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও নারীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেনি নারীরা; নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে তারা। দীর্ঘ যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলেও নারীরা কি স্বাধীন হতে পেরেছে? আমি বলবো, পারেনি। কি মধ্যযুগ, কি বতর্মান যুগ- পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারী সবসময় নিগৃহীত।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাই বলি। পরিবারের বড় মেয়ে আমি। বড় হিসেবে পরিবারের প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কতর্ব্য রয়েছে, পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবে রয়েছে কিছু স্বপ্ন কিংবা চাওয়া-পাওয়া। কিন্তু নারী হওয়ার কারণে আমার স্বপ্নগুলো অনেকবারই উপেক্ষিত হয়েছে।
এসএসসি, এইচএসসির পর যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম, তখনও আশপাশের মানুষ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। মেয়ে হয়ে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, সে প্রশ্নও ছিল অনেকের কণ্ঠে। তবে বাবা-মার সহযোগিতার কারণে কোনো বাধাই আমার লেখাপড়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। আমিও যে পারি, সেটাই আমি আমার সমাজকে দেখাতে চেয়েছি।
আমি সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। গ্র্যাজুয়েট হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। উচ্চশিক্ষা শেষ করে একজন ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে চাই আমি। সাংবাদিক হয়ে দেশসেবায় রাখতে চাই অবদান। পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজকে দেখিয়ে দিতে চাই, নারী হলেও কোনোকিছুই আমার অসাধ্য নয়।
সব নারীকেই আমি এ বার্তা দিতে চাই। শুধু চার দেয়ালের মাঝে বন্দি না থেকে বাইরে পা ফেলতে হবে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সব কুসংস্কার দূর করতে হবে, যেন কোনো অজুহাতেই কেউ আপনার পায়ে শেকল বাঁধতে না পারে।
লেখক : আফরোজা ফেরদৌস : শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।