Media School

Dhaka    Friday, 26 April 2024

By মাজেদুল হক তানভীর

ফেসবুক মার্কেটিং করতে যেসব দক্ষতা থাকা প্রয়োজন

Media School July 28, 2020

প্রতীকী ছবি

ফেসবুক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে, এজন্যে এ বিষয়ে দরকারি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফেসবুক ব্যবহার করলেই মার্কেটিং দক্ষতা তৈরি হয় না; এজন্যে বিশেষ কিছু কৌশল আগে জেনে নিতে হবে।

এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্যে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার :

১. লিড সংগ্রহ : অনেকের ধারণা, ফেসবুক লাইক বেশি হলেই ব্যবসার জন্য তা ইতিবাচক; এমন ধারণা ঠিক নয়। ফেসবুকে অনেকেই নিজের দরকার বা নিজের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না হলেও বিনা কারণেই অনেক পেজে লাইক দিয়ে দেয়। তাই আপনার ব্যবসার জন্যে কোন ধরনের ক্রেতা বা ভোক্তা প্রাসঙ্গিক, ফেসবুকে তাদের লাইক বেশি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন : আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধ বিক্রি করবেন; তাহলে তরুণদের চেয়ে আপনার পেজে একটু বেশি বয়স্কদের লাইক বেশি থাকা জরুরি। আপনার পেজে তরুণদের ২০ হাজার লাইকের চেয়ে বয়স্কদের ৫ হাজার লাইক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২. লিড পরিচর্যা : পেজের জন্য লিড তৈরি করার পর তাদের জন্য সচেতনতামূলক পোস্ট দিন। যেমন : ডায়াবেটিস কী, কেন হয় বা কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এসব পোস্ট ওই পেজের ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ বিষয়ে জানতে ও সংশ্লিষ্ট ওষুধ বা পণ্য কিনতে আগ্রহ বাড়াবে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় লিড পরিচর্যা।

৩. কনটেন্ট ডেভেলপ : আপনার ব্যবসার সাথে বা পণ্যের সাথে সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরি ও আপলোড করুন। কনটেন্ট বলতে কোনো লেখা বা আর্টিকেল, কোনো কিছুর লিংক, গ্রাফিক্স, ভিডিওকে বোঝায়। সেই কনটেন্টগুলো তৈরির সময় তা যেন ভোক্তাদের মধ্যে আপনার পণ্য কিনতে আগ্রহ বাড়ায়, সেই দিকটি মাথায় রাখতে হবে। লিড সংগ্রহ ও পরিচর্যার কথা চিন্তা করে কনটেন্ট ডেভেলপ করতে হবে।

৪. সম্ভাব্য ভোক্তাদের আচরণ বোঝা : সম্ভাব্য ক্রেতা বা ভোক্তাদের বয়স, লিঙ্গ, আর্থিক সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কাজ শুরু করার আগে মার্কেট পর্যবেক্ষণ করা দরকার। প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কনটেন্ট ডেভেলপ করলে ভালো ফল মিলবে।

৫. পেইড মার্কেটিং বা বুস্টিং : যথাযথ ক্রেতা বা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আরেকটি উপায় হলো ফেসবুকে পেইড অ্যাডভার্টাইজিং। এতে ফেসবুকে টাকার বিনিময়ে সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে নিজের ব্যবসা বা পণ্যের তথ্য পৌঁছে দেয়া যায়। আসলে কত বেশি মানুষ পোস্ট দেখেছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কতজন পণ্যটি কিনেছে। তাই সঠিক ‘পেইড মার্কেটিং’ কৌশল সম্পর্কেও ধারণা থাকা দরকার।

৬. রিমার্কেটিং টেকনিক : ফেসবুক পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কোনো পণ্যের পোস্ট বা বিজ্ঞাপন একই ব্যক্তির কাছে বার বার পৌঁছে দিলে ওই পণ্য সম্পর্কে ক্রেতা ভালোভাবে জানতে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এভাবে নিজের ব্যবসার একটি ব্রান্ডও তৈরি হয়। এজন্য টার্গেট অডিয়েন্স ধরে রাখা ও তাদের কাছে বার বার নিজের ব্যবসার বার্তা পৌঁছে দেওয়াই হলো রিমার্কেটিং টেকনিক।

৭. মার্কেটিং রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ : প্রতিবার মার্কেটিংয়ের ফলাফল দেখার সুযোগ রয়েছে ফেসবুকে। এ বিষয়ে জানা থাকা দরকার। এ বিষয়ে জানা থাকলে মার্কেটিং কৌশলের ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং ওই অনুযায়ী  মার্কেটিং করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে।

৮. রিপোর্ট অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো : আপনার ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মাসিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সফলতা বা ব্যর্থতা কিংবা ভুলগুলো সম্পর্কে বোঝা যাবে। এতে ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন মার্কেটিং কৌশল সাজানো সহজ হবে। আর কোন ধরনের কনটেন্ট মানুষকে বেশি আগ্রহী করে বা কোন সময়ে মানুষ অনলাইনে বেশি থাকে, সেগুলো জেনে মার্কেটিং করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।